ঘূর্ণিঝড় মিধিলি প্রভাবে অব্যাহত বৃষ্টিপাতে বরিশালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে নগরের প্রধান সড়কগুলোতে হাঁটুপানি দেখা গেছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন নগরবাসী।
ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বরিশালে ভেঙে পড়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা। টেলিফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগও ব্যাহত হয়। শুক্রবার দুপুর গড়াতেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় নগরসহ গোটা জেলায়। সেই সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগও ব্যাহত হয়। শহরে হাঁটু পরিমাণ পানি দেখা যায়।
এতে চরম বিপাকে পড়ে বরিশালের সাধারণ মানুষ। বরিশালের উপকূল ঘূর্ণিঝড় মিধিলা অতিক্রম করলেও সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা সচল হয়নি। আবহাওয়া অফিস বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। টানা এ বর্ষায় নগরের রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ বরিশাল অতিক্রমকালে শুক্রবার বিকেল থেকে তীব্র বাতাস বয়ে যায়। এতে বিভিন্ন স্থানে গাছ পালা উপড়ে পড়ে যায়। যেকারণে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে গোটা বরিশালে। এমনকি হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জে, মুলাদী, বাকেরগঞ্জ, বাবুগঞ্জেও বিদ্যুৎ ছিল না। তার ওপর বৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় থমকে যায় জনজীবন।
বরিশাল বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঝড়ের কারণে গাছপালা পড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যু সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তাদের একাধিক টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
নগরের আমানতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, ‘দুপুর থেকে তাদের ইন্টারনেট সংযোগ ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ। যে কারনে অনলাইনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সারা দিনই আসা যাওয়া করেছে। তার ওপর ইন্টারনেটও নেই। মোবাইল এবং টেলিফোন ব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে।’
এদিকে বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক ও বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সকালে বরিশালের অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ফসলের কিছুটা ক্ষতি হলেও অন্য কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অফিস জানায়, বরিশালে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ।