এতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেড়ে যাওয়া দুপুর ২টার বাস আটকে যায়। পরে দুপুর আড়াই টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।

এসময় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের হাতে 'দায়িত্ব পালনে অবহেলা কেনো, বলতে হবে বলতে হবে।' 'শিক্ষার্থীরা রাজনীতির স্বীকার কেন, জবাব দিন জবাব দিন।' 'নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন, পরীক্ষা নিন পরীক্ষা নিন।' লেখা সম্বলিত প্লেকার্ড দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, আগামী ২৮ তারিখের মধ্যে নন ক্রেডিট পরিক্ষা নিতে হবে। চতুর্থ বর্ষের সেকেন্ড সেমিস্টার পরীক্ষা এ মাসের মধ্যেই শুরু করতে হবে।

এর আগে বেলা ১২টার দিকে একই দাবিতে বিভাগে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন বিভাগটির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা দীর্ঘদিন আটকে রয়েছে। বারবার বিভাগের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট  কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেও আশ্বাস পাননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনছি পরীক্ষা হবে। কিন্তু বারবার ডেট দিয়েও সময়মতো পরীক্ষা নিতে পারছে না শিক্ষকেরা। এতে আমরা ভোগান্তিতে পরেছি। সকালে বিভাগে এসে শুনেছি চেয়ারম্যান স্যার অব্যহতি নিয়েছে। তাইলে এখন আমরা পরীক্ষা দিব কিভাবে? এজন্য আমরা আন্দোলনে নেমেছি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার পর শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটক ছেড়েছে। এ বিষয়ে আমারা শিক্ষকদের সাথে বসে আলোচনা করে সমাধানের পথ খুঁজবো।