মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) দেশে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ন্যাশনাল আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস (বিএনইডব্লিউএস) অন নিউ সাইকোঅ্যাকটিভ সাবস্টেন্স প্রণয়নের লক্ষ্যে এক কর্মশালার আয়োজন করেছে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) ডিএনসির প্রধান সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।
ডিএনসির মহাপরিচালক মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞার সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব (মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অনুবিভাগ) মো. সাইফুল ইসলাম, সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও অর্থ অনুবিভাগ) মো. খায়রুল কবীর মেনন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শোয়েব এবং শেরে- বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ও কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম।
কর্মশালার প্রধান অতিথি আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস বাস্তবায়নের মাধ্যমে নতুন সাইকোঅ্যাকটিভ সাবস্টেন্স সম্পর্কে আগাম বার্তা পাওয়া যাবে। দেশের সকল সংস্থার ড্রাগ টেস্টিং ল্যাব এবং টক্সিকলজি ল্যাবসগুলোর মধ্যে আন্ত:সমন্বয় করে কাজ করলে নতুন নতুন ড্রাগস সনাক্তকরণ এবং এ বিষয়ে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা সহজ হবে।
তিনি মাদক নিয়ন্ত্রণের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএনওডিসি’র ড্রাগ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অফিসার ডা. টুন নে সো (Dr. Tun Nay Soe)। তিনি আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস সম্পর্কে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং নিউ সাইকোঅ্যাক্টিভ সাব্সটেন্স (এনপিএস) কীভাবে আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমের আওতায় আনা যায় সে সর্ম্পকে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ও এটি বাস্তবায়নের কৌশল সর্ম্পকে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ডিএনসির মহাপরিচালক মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞা বলেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস (বিএনইডব্লিউএস) অন নিউ সাইকোঅ্যাকটিভ সাবস্টেন্স সম্পর্কে ধারণা দেয়ার জন্য এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেমস কার্যকর করতে হলে দ্রুত এনপিএস ডিটেকশন করতে হবে এবং এনপিএস দ্রুত ডিটেকশনের জন্য ল্যাবগুলোকে আধুনিকায়ন এবং পাশাপাশি সেগুলোর জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
এছাড়া কর্মশালায় অংশগ্রহণ করা সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটিতে এ বিষয়ে ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করে আন্ত:সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করা হবে, যাতে দেশে সবার মাঝে নতুন নতুন সাইকোট্রপিক ড্রাগস সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি হয়।
দিনব্যাপী কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা বিএনইডব্লিউএস অন নিউ সাইকোঅ্যাকটিভ সাবস্টেন্স বিষয়ে আইন, বিধিবিধান ও জনসচেতনতা প্রভৃতি বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
কর্মশালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ছাড়াও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, সিআইডি, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বিসিএসআইআর, বিএসটিআই, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সুরক্ষা সেবা বিভাগের প্রতিনিধি এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট ল্যাব প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।