বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ১০ বৈশাখ ১৪৩২
বুধবার ২৩ এপ্রিল ২০২৫
ওষুধের দামে লাগাম টানা জরুরি
তপন কুমার ঘোষ
প্রকাশ: সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩, ৪:০৪ PM
ওষুধ বর্তমানে আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। ওষুধ সেবন করছে না বর্তমানে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এমন অনেক পরিবার আছে, যাদের খাবারের ব্যয় থেকে ওষুধের ব্যয় অনেক বেশি। মানুষের আয় বৃদ্ধি না পেলেও লাগাম টানা যাচ্ছে না ওষুধের দামে। যার মাসুল গুনতে হচ্ছে সমাজের সাধারণ মানুষের। আমরা প্রতিনিয়ত নানা অসুবিধায় ভুগছি । যেমন ঠাণ্ডা জ্বর, পেটব্যথা, গ্যাস্টিক ইত্যাদি। 

কিন্তু বর্তমানে খোঁজ নিলে দেখবেন প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে এসব ঔষধের দাম। কিছুদিন আগেও একটা জ্বরের এইস ড্রপের দাম ছিলো ১৫ টাকা, বর্তমানে তার দাম ৩০ টাকা, ২০ টাকা দামের নাপা সিরাপ ৩৫ টাকা। গ্যাস্টিকের ৫০ টাকার ১পাতা সেকলো এখন ৬০ টাকা, ১০০ টাকা দামের সারজেল ১১০ টাকা ইত্যাদি।

সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জটিল রোগের ওষুধের দাম। আর যা এখন মানুষের চিন্তার মূল বিষয়। কারণ আমাদের দেশে কার্ডিয়াক, ডায়াবেটিক, আর্থাইটিস, নিউরোলজি পেসেন্ট বেড়েই চলছে। যাদের একটা বড় অংশই সন্তানদের উপর নির্ভরশীল। কিছুদিন আগেও ১ পাতা ফিক্রোকার্ড ৬০ বিক্রি হলেও বর্তমানে তার দাম ৮০ টাকা, ৯০ টাকার সেকরিন ২ এমজি ১০০ টাকা, ২০০ টাকার রসু ১০ এমজি ২৪০ টাকা, ৮০ টাকার ওসারটিল ৫০ এমজি ১০০ টাকা। ক্যালসিয়ামের ক্যালবো ডি ২১০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা, নিওবিয়ন ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, ই১২৬ ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা হলেও বর্তমান দাম ১২০ টাকা। ভিটামিন বেক্রট্রাম গোল্ড ২৮৫ থেকে ৩৬০ টাকা ইত্যাদি। এখানেই শেষ নয় আরো কয়েকদফা বাড়তে পারে এসব ঔষধের দাম। 

এমনিতেই পরিবারের খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। তারপর লাগাম বিহীন ঔষধের দাম বাড়াতে বাড়ছে ভোগান্তি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দাম বাড়ছে দেশীয় ওষুধের। কিন্তু এসব স্বাভাবিক হলে, দাম কমবে তো এসব ওষুধের? যদিও আমাদের দেশে এমন রীতি নেই বললে খুব একটা ভুল হবে না। সেই সাথে বাড়ছে অসাধু ব্যবসায়ীর সংখ্যা।
একটা ঘটনা মনে পড়লো, আশা করি অনেকের সাথেই ঘটেছে এমন ঘটনা। কিছুদিন হলো যখন ডেঙ্গুজ্বরে কাঁপছে গোটা দেশ। আর যার প্রধান ওষুধ হচ্ছে নরমাল স্যালাইন  ও ডিএনএস স্যালাইন। উৎপাদনের কয়েকগুণ চাহিদা থাকায়, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত দাম হাঁকিয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

স্যালাইনগুলোর দাম যথাক্রমে ৯০ ও ১০০ টাকা নির্ধারণ করা থাকলেও কিনতে হয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। আমাদের সমাজে অনেক মানুষ আছে, যার প্রতিদিন আয়ই ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। তাদের কী অবস্থা একবার ভাবুন। আরো কত মানুষ এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে তা-না হয় অজানাই থাক। সবশেষে বলতে চাই, ঔষধের দামে দ্রুত লাগাম টানা প্রয়জোন। আর এর জন্য সরকারের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছি। তা-না হলে চরম অসুবিধায় পড়তে পারে দেশের সাধারণ মানুষ।

লেখক : শিক্ষার্থী, সরকারী মুকসুদপুর কলেজ

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত