পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ সরদার এর মাছের ঘের থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও ৫ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিনগত গভীর রাতে ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশ পৌর শহরের মধ্য ভাণ্ডারিয়া মহল্লার সরদারপাড়ায় ওই জেপি নেতার মাছের ঘেরের একটি গুদামঘর থেকে ব্যাগভর্তি এ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার দিনগত রাতে চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্থানীয় দক্ষিণ শিয়ালকাঠী মেডিকেল মোড়ে আওয়ামীলীগ কার্যালয় ভাংচুর, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করা মামলায় অভিযুক্ত আসামী হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মামুনুর রশীদ পৌর শহরের মধ্য ভাণ্ডারিয়া মহল্লার সরদার পাড়ার জয়নাল সরদারের ছেলে ও ভাণ্ডারিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির (জেপি) অংঙ্গ সংগঠন জাতীয় যুবসংহতির উপজেলা শাখার সদস্য সচিব।
থানা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দিনগত রাতে আওয়ামীলীগ ও জেপি নেতা কর্মীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে যুব সংহতি নেতা মামুনুর রশীদ সরদারসহ জেপির চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গভীর রাতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে অস্ত্র ও গুলি মজুদ রাখার কথা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তির পর পুলিশ ওই যুবসংহতি নেতার মাছের ঘেরে অভিযান চালিয়ে বিদেশী পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ভাণ্ডারিয়া থানার উপ পরিদর্শক মো. জসীম উদ্দিন বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশিকুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত মামুনুর রশীদ সরদার এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কয়েটি মামলা রয়েছে। পুরানো মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের পর তার কাছে মজুদকৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। তাকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।