নারী জাগরণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪৩তম জন্মবার্ষিকী ও ৯১তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে আত্মপ্রত্যয়ী ও সংগ্রামী নারী হিসেবে ঈশ্বরদীতে পাঁচ নারীকে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
৯ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে পাঁচ ক্যাটাগরিতে এসব নারীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবীর কুমার দাশ।
সম্মাননা প্রাপ্ত নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী মোছাঃ রোহানী সাবরিন শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে মোছাঃ রিন্তু খাতুন, সফল জননী মোছাঃ হোসনেয়ারা, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করা মোছাঃ মমতাজ বেগম ও সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় মোছা জোসনা বেগম।
উপজেলা মহিলা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা নাজনীন আক্তার সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) টি. এম রাহসিন কবীর, ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলী, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণ ও প্রশিক্ষণার্থী আশূরা খাতুন।
সুবীর কুমার দাশ বলেন, এই জয়িতারাই সমাজের আলোকিত মানুষ। নারীরা শিক্ষিত হলে ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়িত হলে আলোকিত দেশ ও সমাজ গড়ে ওঠে। দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্সের যে জয়জায়কার, তার পেছনে রয়েছে জয়িতা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান। যার ফলে নারীরা আর্থিক স্বচ্ছলতা ও স্বাবলম্বিতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে।
অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী মোছাঃ রোহানী সাবরিন বলেন, আমি বুটিক ও কুটিরশিল্প কারখানা করেছি। আমার মাধ্যমে নারীরা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। বেগম রোকেয়ার মতো নারীরা এগিয়ে যাক এই প্রত্যাশা করছি।’
সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখা মোছা জোসনা বেগম জানান, ‘সমাজ উন্নয়নে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা এগিয়ে আসছেন। করোনাকালে সকল সামাজিক কাজে আমি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই। আজকের এই সম্মাননা আমার কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
গোপাল অধিকারী