সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ ৮ বৈশাখ ১৪৩২
সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫
ডেঙ্গু কি বাড়তেই থাকবে
মনিরুল হক রনি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৪:৪৩ PM
ডেঙ্গু সময়ের আলোচিত এক আতঙ্কের নাম। এটি ভাইরাসজনিত একটি রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে থাকে। এ রোগে শরীরে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় বলে একে ‘ব্রেকবোন ফিভার’ বলেও অভিহিত করা হয়। যদিও ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম শনাক্তের সময় এই রোগটি ‘ঢাকা ফিভার’ নামে পরিচিত ছিলো। প্রতিবছরই দেশে এই রোগের কম-বেশি প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। যদিও ঢাকা শহরে এর প্রাদুর্ভাবটা একটু বেশি দৃষ্টিগোচর হয়। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে ডেঙ্গুর মারাত্মক রূপ ধারণ করতে দেখা যাচ্ছে।

বিশেষকরে চলতি বছরে এই রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। যেটি নতুন করে ভীতির সঞ্চার করেছে জনমনে। তবে ডেঙ্গুর প্রকোপ কম বা বেশি হওয়ার পিছনে এর ভেরিয়েন্টের ভূমিকা আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিসিএসআইআর’র উদ্যোগে পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, ডেঙ্গুর চারটি সেরোটাইপ রয়েছে- ডেনভি-১, ডেনভি-২, ডেনভি-৩ ও ডেনভি-৪। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) গবেষণা অনুযায়ী, ২০১৬ সালের আগে সেরোটাইপ ডেনভি ১ এবং ডেনভি ২ এর মাধ্যমে মহামারি সংঘটিত হয়, তখন পর্যন্ত বাংলাদেশে বাকি ২টি সেরোটাইপ শনাক্ত হয়নি। দেশে ডেনভি-৩ শনাক্ত হয় ২০১৭ সালে এবং ২০১৮ সালে ডেনভি-৩ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। সবশেষে ২০১৯ সালে মহামারি আকার ধারণ করে এটি। যদিও ডেঙ্গুর প্রাবল্য দেশে বড় আকারে দেখা দেয় ২০০০ সালে। ওই বছরে ৫ হাজার ৫৫১ জন  ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় আর মৃত্যুবরণ করে ৯৩ জন। কিন্তু তার চেয়েও কয়েক গুণ ভয়াবহ আকার ধারণ করে ২০১৯ সালে। সরকারি হিসেবে ওই বছরে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন আক্রান্ত হয় এবং মৃত্যুবরণ করে ১৭৯ জন। যদিও বেসরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো প্রায় ৩০০ জনের মতো। ইতিহাসের সর্বাধিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ওই বছর। 

আর আক্রান্ত ও মৃত্যুর অধিকাংশই ঘটে ঢাকায়। সারা দেশে যত মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল, তার অর্ধেকই ছিলো ঢাকায় এবং এখানে মৃত্যুর হার ছিল সারা দেশে মোট মৃত্যুর ৭৭ শতাংশ। করোনাকালীন ২০২০ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কম হলেও ২০২১ সালে আবারও প্রবলভাবে দেখা দেয় ডেঙ্গুর প্রকোপ। ওই বছর  ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ছিলো ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘটনা। ২৮ হাজার ২৬৫ জন আক্রান্ত ও ১০৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ওই বছর। ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশে ২৮১ জন মারা যায় এবং ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬২ হাজার ৩৮২ জন। আইইডিসিআর'র তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৮৬৮ জন। অথচ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে চলতি বছরের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই রোগে মারা গেছে ১ হাজার ৬৩৯ জন। অর্থাৎ গত ২২ বছরে ডেঙ্গুতে যে পরিমাণ মৃত্যু হয়েছে তার প্রায় দ্বিগুণ মৃত্যু হয়েছে এবছর।  এ সময়ের মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৬২৩ জন। তাঁদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১ লাখ ৮ হাজার ৬৪৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হন ২ লাখ ৬ হাজার ৯৭৭  জন। তবে এটি সরকারি হিসাব। বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা যে আরো বেশি, তা বলাই বাহুল্য। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে চলতি বছর সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে গত সেপ্টেম্বরে—৩৯৬ জন,অক্টোবরে- ৩৫৯ জন। আর গত মাসে মারা গেছেন ২৭৪ জন। এর আগে আগস্টে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় ৩৪২ জনের। চলতি বছরের মার্চ মাস ছাড়া সব মাসেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু দেখেছে দেশ। 

এক সময়ে বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগটি মৌসুমি রোগ বলে মনে করা হলেও, গত কয়েক বছর ধরে সারা বছর জুড়ে এর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ উষ্ণ আবহাওয়ায় ডেঙ্গুর বিস্তার বেশি ঘটে বলে যে প্রচলিত ধারণা ছিল তা এখন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। কেননা দেশে শীত চলে এলেও কমেনি ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত বছরও শীতে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছিল ঠিকই, কিন্তু রোগটির এত বিস্তৃতি দেখা যায়নি। চলতি নভেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের এ সময়ের দ্বিগুণ। শীতের আগমনিতেও ডেঙ্গুর এমন উল্লম্ফন আমাদের ডেঙ্গু চিকিৎসা  ও প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল বৈকি।

ডেঙ্গুর অতি সংক্রমণের পাশাপাশি এবার গ্রামাঞ্চলে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়াও এক নতুন ভীতি বলে মনে করা হচ্ছে। একসময় ডেঙ্গু ছিল মূলত ঢাকা শহরকেন্দ্রিক। কিংবা বড়জোর বড় বড় শহরকেন্দ্রিক। তবে ২০১৯ সালে বড় বড় শহরের পাশাপাশি কয়েকটি গ্রামেও ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। তারপর থেকে শুধু বড় শহরেই আর সীমাবদ্ধ থাকেনি ডেঙ্গু- শহর থেকে গ্রামের দিকেও ধাবিত হয়েছে।  এ বছর ৬৪ জেলাতেই ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে, বহু গ্রামের মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ডেঙ্গুতে। ঢাকা শহরের বাইরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ১২ লাখ ৫ হাজার ৯৮৪ জন । এর মধ্যে কেবল বরিশাল বিভাগেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪ হাজার ১৮০ জন। বরিশালের ন্যায় উপকূলের জেলাগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ নতুন ঝুঁকি বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, বছরে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। আর এই মুহূর্তে  বিশ্বের অর্ধেক মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ব্যাপারটি উদ্বেগজনক তো বটেই, বাংলাদেশের জন্য আরো বেশি উৎকণ্ঠার। চলতি বছর দেশে ডেঙ্গুর মহামারি আকার ধারণ কোন আকস্মিক ঘটনা ছিলো না। বরং বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর সংক্রমণ আর এই রোগের ভাইরাস আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠার পরেও সেদিকে নজর না দেয়ায় এই বছরে ডেঙ্গু মারাত্মক হয়ে উঠেছে বলে জনস্বাস্থ্যবিদদের ধারণা। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম এবং ডেঙ্গু চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের গবেষণায় উঠে এসেছে, এ বছর ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারি ও রাজনৈতিক উদ্যোগ উল্লেখযোগ্যভাবে প্রাধান্য পায়নি। কেননা পূর্বসতর্কতা থাকার পরও এডিস নির্মূলে সরকারের তেমন কোন কার্যকরী ও টেকসই উদ্যোগ নিতে দেখা যায় নি। এছাড়াও ডেঙ্গু বৃদ্ধির আরো কিছু কারণ অনুসন্ধান করা যেতে পারে।

 বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রক্তক্ষরা ডেঙ্গু উৎপত্তির মূলে আছে নজিরবিহীন জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ভ্রমণ বৃদ্ধি, মশক দমনের অভাব এবং জনস্বাস্থ্য কাঠামোর অবনতি। তাছাড়া অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ভালো কোন পদ্ধতি না থাকা, অপরিচ্ছন্নতা ইত্যাদিও এডিশ মশা বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ। আবার জলবায়ু পরিবর্তনও বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়াচ্ছে বলে বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় উঠে এসেছে। সংস্থাটি বলছে, এক ঋতুর সঙ্গে আরেক ঋতুর যে তফাৎ, বাংলাদেশে তা মুছে যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কায়। ফলে ধীরে ধীরে লোপ পাচ্ছে ঋতুভেদে আবহাওয়ার বৈচিত্র্য। প্রতি বছর গ্রীষ্মের সময়টা একটু একটু করে বেড়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বর্ষাকালের পরিধি। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে গড় বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় দীর্ঘ হচ্ছে বর্ষাকাল। অথচ যে সময়টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হতো আগে, সেই জুন-আগস্ট মৌসুমে গড় বৃষ্টিপাত কমে যাচ্ছে। এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গু যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিলো তার মূলেও ছিলো বৃষ্টিপাত। বিশ্বব্যাংক বলছে, ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় ভারি বর্ষণ হয়েছিল। ফলে এর পরের মাসগুলোর অনুকূল তাপমাত্রা আর আর্দ্রতা ডেঙ্গুর ব্যাপক বিস্তারে ভূমিকা রেখেছিল। ঢাকার অসংখ্য নির্মাণাধীন প্রকল্পও এডিস মশা উৎপাদনের অন্যতম ক্ষেত্র বলে মনে করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জ্যেষ্ঠ কীটতত্ত্ববিদ বি এন নাগপাল। তার মতে, নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় মশা উৎপাদন ক্ষেত্র বিনাশ করা গেলে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব। তবে বিশেষজ্ঞদের মত যেটাই হোক না কেন আমাদের সচেতনতার অভাব এবং অপরিচ্ছন্নতাই এডিস মশা বৃদ্ধির প্রধানতম কারণ। সেজন্য ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে আমাদের সচেতনতার কোন বিকল্প নাই। কেননা  নেদারল্যান্ডের গবেষক ডি এ ব্লেইজিসের মতে,স্পানিস শব্দ ডিঙ্গা বা ডেঙ্গু মানেই হলো সতর্ক থাকা। প্রাচীনতম এই রোগের প্রধান প্রতিষেধকই তাই সচেতন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা। 

সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার প্রজনন মৌসুম ধরা হয়। কারণ এ সময় বৃষ্টিপাতের কারণে পানি জমে। সে পানিতেই এডিস মশার প্রজনন ঘটে। এডিস মশার আঁতুড়ঘর যেহেতু পানি, তাই এ সময় আমাদের চারপাশে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গুর বংশ বিস্তার বেশি হয়। তবে এখানে স্মরণীয় যে, সব পানিতেই এডিস মশা জন্মায় না। নর্দমা, কূপ, পুকুর, লেক, নদী বা মাটির আধারে ডিম পাড়ে না এডিস মশা। এসব জায়গায় যে মশা দেখা যায়, তা এডিস নয়। এই মশা জনগণের আবাসস্থল নয়তো নির্জন ও পরিত্যক্ত জায়গায় জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে জন্ম নেয়। তাই ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশার প্রজনন বন্ধ করা আর মশা নির্মূলের কোন বিকল্প নাই। আমাদের আবাসস্থলের আশেপাশে  কোন অবস্থাতেই যাতে পানি জমতে না পারে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। পানি জমে মশার বংশবৃদ্ধি যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে নির্মাণের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দায়িত্ব নিতে হবে। একইসাথে রাস্তাঘাটের আশপাশে, নালা ও নর্দমায় যাতে পানি জমতে না পারে, সেজন্য সিটি কর্পোরেশনকে আরো সজাগ ও সচেতন হতে হবে এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে টেকসই ও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি ডেঙ্গু নির্মূলের জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার যথাযথ বাস্তবায়ন। একসময়  দেশে ম্যালেরিয়ার  প্রকোপ ছিল খুব বেশী। যার বাহকও ছিলো মশা। সেই ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে এসেছে সুষ্ঠু পরিকল্পনামাফিক কাজের মাধ্যমে।  অন্য মশা ও মশাবাহিত রোগ যেমন কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে এসেছে, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও তদ্রুপ পদক্ষেপ নিতে হবে। ডেঙ্গুর ভয়াবহতা জানা সত্ত্বেওে এটি নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রযন্ত্রের উদাসীনতা, সঠিক কর্মসূচির অপর্যাপ্ততা, দুর্নীতি, কর্তৃপক্ষের দূরদৃষ্টির অভাব ইত্যাদির কারণে ডেঙ্গু এক ভয়াল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায় একমাত্র জনসচেতনতা ও সঠিক কর্মকৌশলই আমাদেরকে ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি থেকে মুক্তি দিতে পারে। 
 
লেখক : প্রভাষক ও সমাজকর্মী, সমাজকর্ম বিভাগ, সাভার সরকারি কলেজ, ঢাকা

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত