সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫ ৮ বৈশাখ ১৪৩২
সোমবার ২১ এপ্রিল ২০২৫
সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১:০২ PM
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। অনেকটা বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। হাড়কাঁপানো এই শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান হক জানান, শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আর্দ্রতা ৯২%, যা আজ দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এদিকে, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও কমেনি শীতের দাপট। এতে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গা জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন বিপাকে। হিম বাতাসে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশু, বৃদ্ধ আর ছিন্নমূল মানুষ। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের করছেন অনেকে।

জেলা শহরের এক হোটেল কর্মচারী বলেন, সকাল থেকেই হোটেলে কাস্টমারের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ কারণে ভোরেই কাজে চলে আসতে হচ্ছে। কিন্তু পানিতে হাত দিলে মনে হচ্ছে হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে। আঙুলগুলো নাড়ানো যাচ্ছে না। তারপরও কাজ করছি। ঠান্ডার ভয় করলে মালিক মজুরি দেবে না।

গ্রামীণ নারীরা জানান, খুব ঠান্ডা পড়ছে। ঘরের মেঝে থেকে শুরু করে আসবাবপত্র ও বিছানা পর্যন্ত বরফ হয়ে ওঠে। সকালে গৃহস্থালির কাজ করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসে।

এদিকে, তীব্র শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা হাসপাতালে ভিড় করছে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে। গত ১০ দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুসহ ১ হাজারের বেশি রোগী ঠান্ডাজনিত কারণে আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহা. আতাউর রহমান।

এ ছাড়া ঠান্ডার কারণে কৃষিকাজও চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নষ্ট হওয়ার উপক্রম অনেক ফসলের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুভাস চন্দ্র সাহা বলেন, কয়েক দিন যাবত চুয়াডাঙ্গায় ঘন কুয়াশা পড়ছে। বোরো ধানের বীজতলা ও আলুখেত রক্ষায় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

তিনি আরও বলেন, ধানের বীজতলা রক্ষায় সকালে চারার ওপর থেকে শিশির সরিয়ে দেওয়া, সম্ভব হলে চারা রাতে ঢেকে দেওয়া, বীজতলায় সেচ দিয়ে পরদিন সকালে পানি বের করে দেওয়া এবং বীজতলা লাল হলে জিপসাম ও ইউরিয়া সার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আলুখেতে আগাম ধসা ও নাবি ধসা ছত্রাক যাতে না লাগে, সেজন্য ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে বলা হয়েছে। এজন্য মাঠপর্যায়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত