ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যৌতুকের বলি হলো সুমী আক্তার জান্নাত(১৯) নামে এক গৃহবধূ। সোমবার দুপুরে ওই গৃহবধূর মরদেহ উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণকান্দা গঙ্গাধরদী গ্রাম থেকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। সুমি আক্তার একই গ্রামের সাবেক সেনাবাহিনীর সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলামের কন্যা এবং ইটালি প্রবাসি শাকিল মাতুব্বরের স্ত্রী।
নিহতের পিতা রফিকুল ইসলাম ও স্বজনেরা জানান, শাকিল মোবাইল ফোনে ছবি তুলে প্রায় জিম্মি করে তার মেয়েকে বিয়ে দিতে বাধ্য করে।বিয়ের পর থেকেই বড় অংকের যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে তাকে ইটালী পাঠাই। তারপর তাদের দাবী মিটেনি।ইটালী যাবার পর থেকে শ্বশুর শাশুড়ি পুনরায় যৌতুকের দাবী করে মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখে। এ নিয়ে সুমী বিষয়টি মা- বাবার কাছে একাধিক বার জানিয়েছে। রোববার শাকিলের মা,দুই ভাই রাশেদ ও হান্নান শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।
ভোরে তার মরদে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানায় নিয়ে আসে। তবে নিহতের স্বজনেরা জানান তাকে হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে। এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ ( তদন্ত) প্রদ্যুত সরকার জানান,মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।