ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় কৃষকের কাছ থেকে আমন মৌসুমের ধান সংগ্রহ অভিযান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলার দক্ষিণ ইউপির দ্বিজয়পুর গ্রামের কৃষক তাহের মিয়ার কাছ থেকে ৩ টন ধান ক্রয়ের মাধ্যমে এর উদ্ধোধন করা হয়।
এ মৌসুমে কৃষকের কাছ থেকে ১৬৪ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। ৩০ টাকা কেজি দরে প্রতি মণ ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০০ টাকা। একজন কৃষক ৩ মণ থেকে ৩ মেট্রিক টন ধান বিক্রি করতে পারবেন।
কৃষক তাহের মিয়া বলেন, বর্তমানে শ্রমিকের মুজরি বেশি। রোজ হিসেবে ১ মন ধান বিক্রি করে একজন শ্রমিকের মুজরি হয়।ধানের দামটা আরেকটু বেশি হলে ভালো হতো।
উপজেলা পরিষদ চত্বরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাউছার সজীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, উপসহকারী কৃষি অফিসার জিয়াউর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান ও মশিউর রহমান প্রমূখ। আগামী ২৮ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত কৃষকদের ধান দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাউছার সজীব জানান, আখাউড়া উপজেলায ১৬৪ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা কৃষি অফিস থেকে ৫৩৩ জন কৃষেকর নামের তালিকা পেয়েছি। আগে আসলে আগে দিবেন এই প্রক্রিয়ায় আমরা আজ থেকে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় শুরু করেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম বললেন, কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলায়। তারা যেন ন্যায্য মূল্য পায়। উপজেলা খাদ্য অফিস থেকে ১৬৪ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর ধান দিতে আগ্রহী কৃষক পাওয়াগেছে ৫৩৩ জন। এই লক্ষ্যমাত্রা যদি আরোও বাড়ানো হয়। আমি মনে করি আমার কৃষকরা ন্যাযমূল্য পাবে। এতে কৃষকের আর্থীক উন্নয়ন হবে।কৃষিতে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া আক্তার বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হবে। কৃষকদের উৎসাহী করতে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পযর্ন্ত ধান ক্রয় করা হবে।