ঢাকা জেলা পরিষদের উদ্যোগে ঢাকা জেলার ২০২২ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের মাঝে সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। ধামরাই পৌর শহরের মুন্নু কমিনিউটি সেন্টারে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে এ সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ধামরাই উপজেলার ২৪৫ জন ও সাভার উপজেলার ৫০ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে এ সম্মাননা দেয়া হয়।
ঢাকা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র গোলাম কবির, ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, ধামরাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট সোহানা জেসমিন মুক্তা, ঢাকা জেলা পরিষদের ০২ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাসিমা আক্তার, ঢাকা জেলা পরিষদের ০৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য সানোয়ার হক সুজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ঢাকা জেলা পরিষদ দূর্নীতিকে না বলে মেধাবী ও অসচ্ছল ছাত্রছাত্রীদের মাঝে অত্যন্ত সুন্দর ভাবে বৃত্তি প্রদান করে আসছে। ১৯৬৯ সালে আমি নবম শ্রেণিতে পড়ি তখন শেখমুজিবের মুক্তির জন্য আন্দোলন করে আমি গ্রেফতার হই, কোর্টে মহামান্য জজ আমার অপ্রাপ্ত বয়স থাকায় জামিন প্রদান করেন সেই থেকে আমি শেখমুজিবের আদর্শ নিয়ে এগিয়ে চলেছি।
তিনি আরোও বলেন, শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর রাখার জন্য সরকার প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে দৃষ্টিনন্দন অবকাঠামো নির্মাণ করে দিচ্ছে। সেসব ভবনে সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকছে। ফলে, শিক্ষার্থীরা সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে জ্ঞান অর্জন করতে পারছে।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুরুত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে অভিভাবকদেরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় ফাঁকি দিচ্ছে কিনা সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কলেজের পড়ালেখার পাশাপাশি বাড়িতে পড়ালেখা করছে কিনা সে দিকে নজর দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, আমি যখন ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছি তখন সম্মানি পেয়েছিলাম ৮০ টাকা, ৮০ টাকা সংখ্যায় নয় সম্মানের চোখে দেখেছি। বৃত্তি একটা সম্মান, তোমরা যারা দশ হাজার টাকা পাচ্ছো এই টাকার সংখ্যা না এই স্মৃতিটা যখন তোমরা দেখবে তখন গর্বে তোমাদের বুক ভরে উঠবে। এখানে যারা শিক্ষার্থীরা আছো তারা একদিন দেশের বিভিন্ন দায়িত্বে কর্মরত থাকবে, তোমাদের হাতে চলবে দেশ।