আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সাত জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে জাপার প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞা তাঁর নির্বাচনী এলাকার ভোটার তালিকাভুক্ত না হওয়ায় নিজ প্রতীকে ভোট দিতে পারবেন না। রেজাউল ইসলাম ভূঞা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও তিনি অন্য এলাকার ভোটার।
জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে (লাঙ্গল) প্রতীক হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঞা। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে সদর উপজেলার কোড্ডা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সেই এলাকার ভোটার। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জোট প্রার্থী।
এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, তিনি যে জায়গার ভোটার সেই এলাকায় ভোট দিতে হবে।
এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ফলে এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী নেই। তবে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ সাতজন প্রার্থী আছেন। এর মধ্যে জাপার প্রার্থী রেজাউল ইসলাম ভূঞা ও তার শ্বশুর স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধার (ঈগল) নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি নজর কাড়ছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তারা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। সরাইল উপজেলার ৯টি ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টি। মোট ভোটার ৪ লাখ ১০ হাজার ১১২জন। এদের মধ্যে মোট পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৭হাজার ৪৩০ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লাখ ৯২ হাজার ৬৮২ জন।
এই আসনের প্রার্থীরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন (কলার ছড়ি), জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলটির অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঞা, তার শ্বশুর জাপার দুবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির (রওশন) সহসভাপতি জিয়াউল হক মৃধা (ঈগল প্রতীক), সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনীর ছেলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসানাত আমিনী ও বিএনপির দলছুট সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে তৃণমূল বিএনপির মাইনুল হাসান, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কদ্দুছ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রাজ্জাক হোসেন। সমঝোতার কারণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহজাহান আলমকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত করতে পারবে। আর ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।