জনগনের স্বাস্থ্যসুরক্ষায় নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। জনগণের নিকট নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা পৌছানোর লক্ষে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
এই দপ্তর খুলনা জেলায় ২০০৯সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ১৪ বছরে ১৭হাজার ৪৯৯টি নলকূপ নির্মাণ ও ৪৬হাজার বৃষ্টির পানি সংরক্ষণাগার বিতরণ করা হয়েছে। প্রকল্প প্রায় শেষ হয়েছে। অল্প কিছু বাকি চলমান রয়েছে। এ জন্য ২৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়াতে গ্রামীণ জনপদের মানুষ নিরাপদ সুপেয় পানির আভাব দুর হয়েছে। খুলনা উন্নয়নে আরো একধাপ এগিয়ে গেছে।
সূত্র জানিয়েছেন, স্যানিটেশন ও নিরাপদ পানি সরবরাহ করে শীর্ষ স্থান দখল করে রয়েছে। গ্রামীন জনপদে বিভিন্ন ধরনের নিরাপদ পানির উৎস নলকূল ও স্যানেটারী লেট্রিন স্থাপনাগুলো রক্ষণাবেক্ষণ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর প্রধান দায়িত্ব।
পল্লী পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন অবকাঠামো নির্মানোত্তোর রক্ষণাবেক্ষণে ইউনিয়ন পরিষদকে ওয়াটসান কমিটির মাধ্যমে কারিগরী সহায়তা প্রদান, স্বাস্থ্য পরিচর্যা জোরদারকরণ এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে থাকে। বিভিন্ন দুর্যোগেন কারণে সৃষ্ট জরুরী পরিস্থিতিতে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশ ব্যবস্থা সচল রাখার লক্ষে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
উপকূলীয় এলাকায় হাজার হাজার মানুষ সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের আওতায় এসেছে।
খুলনা জেলায় স্থাপিত করা হয়েছে গভীর নলকূল, তারা গভীর নলকূপ, সাবমারসিবল পাম্প সহ গভীর নলকূপ ও অগভীর নলকূপ স্থাপন করেছে১৪ হাজার ৪৯৯টি। উপকূলীয় এলাকায় রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং (বৃষ্টির পানি সংরক্ষনাগার) ৪৬হাজার ৪৩১টি। পুকুর ভিত্তিক আলট্র ফিলিংস্টেশন (কমিউনিটি ভিত্তিক) ১৯টি। পুকুর খনন ও পুন:খনন পিএসএফ সোলার পিএসএফ ৬৩০টি। কমিউনিটি ভিত্তিক পানি সরবরাহ স্কিম ৫৯টি। প্রতিঘন্টায় ১লাখ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন উচ্চ জলাধার নির্মাণ ২টি। প্রতি ঘন্টায় ২লাখ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ১টি। রো ইউনিট নির্মাণ ১৩টি। পাবলিক কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণ ৯০টি।
সূত্র জানিয়েছেন, খুলনায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য সোলার ডি স্যালাইনেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে ৩৫টি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ওয়াসবøক নির্মাণ ৪৪৬টি। নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ব খাবার পানি সংরক্ষণ জলাধার বিশেষ উদ্যোগে উপকূলীয়বাসীর দুর্দশা লাগবে বিতরণ করা হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আকমল হোসেন বলেন, নিরাপদ পানি সরবরাহও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে এই সংস্থা। স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যা মানুষের সেবায় নিয়োজিত। প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনগণের পাশে থেকে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা সচল রাখা হচ্ছে। সরকার উপকূলীয় এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আন্তরিক। প্রকল্প বাস্তবায়নে গ্রামীণ জনপদের মানুষ সুপেয় পানি পেয়েছেন।