শীতের সকাল থেকে পড়ন্ত বিকাল পর্যন্ত মাঠে-মাঠে ফসল কাটার চিরাচারিত দৃশ্য এখন চরফ্যাসনে উপজেলার মাঠে মাঠে দেখা যাচ্ছে। এখাকার শ্রমিকরা আমন ধান কাটায় কিছুটা ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। মৌসুমের শেষ সময়ে ঘূর্ণিঝড় হওয়ায় ধানের ফলন তেমন ভালো হয়নি বলে কিছুটা লোকসান গুনতে হবে বলে মনে করেন চরফ্যাসনের কৃষকরা। তবে বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নির্বিঘ্নে ধান কাটা মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন কৃষক কৃষাণীরা।
উপজেলার আশয়াবাগ, হাজারীগঞ্জ, চর মাদ্রাজ নুরাবাদ, আহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, দিগন্তজুড়ে মাঠ সেজেছে যেন হলুদ রঙ্গে। নতুন ধান পেয়ে উৎসাহ নিয়ে ধান কাটা- মাড়াইয়ের কাজ শুরু করলেও কৃষকরা ধানের ফলন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে অনেকে।
কৃষক নাগর আলী, শাহাবুদ্দিন, আমন ধান কাটায় ব্যস্ততা মধ্যে দিয়ে দিন পার করছেন তারা। এ বছর ধান উৎপাদন খরচ একটু বেশি হয়েছে। এখন মাঠ থেকে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য শ্রমিকদের মুজুরি মূল্য বেশি দিতে হচ্ছে।
কৃষক ফিরোজ বলেন, এবছর শেষ সময়ে ঘূর্ণিঝড় এর ফলে গন্ড প্রতি দুই থেকে আড়াই মন করে ধান কম হয়েছে। যা গত ছিলো চার থেকে পাচঁ মন। তাছাড়া বাজারে ধানের দামও কম এতে এবার উৎপাদনের খরচসহ তেমন লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা নেই বরং লোকসান গুনতে হবে।
চরফ্যাসন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রকুনুজ্জামান বলেন, এবছর চরফ্যাসন উপজেলায় আমন আবাদের লক্ষমাত্র ছিলো ৭১ হাজার ৫শ ৫০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে প্রায় বেড়ে ৭১ হাজার ৮শ ৬ হেক্টর অর্জন হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সাড়ে চারশত হেক্টর আমন ধান ক্ষতি হয়েছে।