পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার একটি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের কার্যালয় লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম লিটন বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন। ইতিমধ্যে আইন উদ্দিন নামে বিএনপির সক্রিয় এক সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। তিনি উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের মাঝদিয়া গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে।
মামলায় পৌর যুবদলের আহবায়ক জাকির হোসেন জুয়েল ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মেহেদী হাসানসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১৫ থেকে ১৬ জনকে।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মোটরসাইকেলে করে ৩০ থেকে ৪০ যুবক আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে আসেন। কার্যালয় লক্ষ্য করে তাঁরা তিনটি গুলি ছোড়েন এবং তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। এ হামলায় ২-৩ জন কর্মী আহত হন। এর আগে ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী উপজেলা সদরের পিয়ারপুর মোড় বাজার এলাকায় সরকার পতন ও নির্বাচন বর্জনবিষয়ক লিফলেট বিতরণ করছিলেন। তাঁরা ওই এলাকায় থাকা ঈশ্বরদী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে গেলে কার্যালয় থেকে কয়েকজন বের হয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওই এলাকা ছাড়তে বলেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সেখান থেকে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা গুলি করেছেন এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান ডিলু অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সরকার ও নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। এর প্রতিশোধ নিতেই তাঁরা গুলি ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে ঈশ্বরদী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মেহেদী হাসান বলেন, বিএনপির কর্মী-সমর্থকেরা এমন কোনো ঘটনা ঘটাননি। বিএনপিকে চাপে রাখতে কেউ নিজেরাই গুলি ও ককটেল ফুটিয়ে এখন দোষ চাপাচ্ছেন।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবারের ঘটনায় যুবলীগ নেতা মামলা করেছে। ওই মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।