চট্টগ্রাম-১১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের নির্বাচনী ক্যাম্প আগুনে জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে৷ এই ঘটনার জন্য নৌকার প্রার্থী এম এ লতিফের সমর্থকদের দায়ী করা হচ্ছে৷
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৪টায় দিকে ৩৯ নং ওয়ার্ডের আবদুল মাবুদ সওদাগরের বাড়ির পাশে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের কেটলি মার্কার নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, আগুনে ক্যাম্পের দক্ষিণ ও পূর্বপাশ পুরোটা জ্বলেছে। আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়েছে নির্বাচনী ক্যাম্পের ত্রিপল, পোস্টার, ব্যানার। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা ব্যারিস্টার সুলতাম আহমেদ চৌধুরী কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর নেওয়াজ কাজল বলেন, 'আমাদের অভিযোগ সুনির্দিষ্ট কারোর বিরুদ্ধে নেই। তবে কার নির্দেশে কারা করেছে সেটি কার্যত স্পষ্ট। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের খুঁজে বের করবেন।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন বলেন, 'আমি কোনোভাবেই সংঘাত-সহিংসতার পক্ষে নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ও এলাকার আপামর মানুষের ভালোবাসাকে পুঁজি করে প্রার্থী হয়েছি। যেখানেই যাচ্ছি নেতাকর্মীদের একটাই কথা বলি, মার দিলে মার খেতে। মারামারি ও অগ্নিসন্ত্রাস থেকে দূরে থাকতে। তবে আমি আজকের এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশা করছি'। এই হামলাকে ক্যাটলি মার্কার বিপুল জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বীত প্রসুত কাজ বলে মনে করছেন জিয়াউল হক সুমন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-১১ আসন। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রক চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমস, একাধিক ইপিজেডসহ নানা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এই এলাকায় অবস্থিত। এখানে মোট প্রার্থী হয়েছেন ৭ জন। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, অঙ্গ সংগঠনের পাশাপাশি নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ বড় একটি অংশের সরাসরি সমর্থন পাওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল উল হক সুমন আসন্ন নির্বাচনে বর্তমান সাংসদ ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম এ লতিফের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছেন৷