সিলেট বন বিভাগের সুনামগঞ্জ থেকে উদ্ধার হওয়া বিপন্ন প্রাণী বনছাগলটিকে (রেড সেরো) মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টায় বন ছাগলটিকে রেসকিউ সেন্টারে আনা হয়।
বন বিভাগের সহায়তায় উদ্ধার হওয়া এ বনছাগলটিকে ‘আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন)’ বিশ্বে বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী হিসেবে তালিকাভূক্ত করেছে। বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, এ প্রজাতির বনছাগল বা রেড সেরো বাংলাদেশে বিরল ও বিপন্ন।
মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ওয়াইন্ডলাইফ রেঞ্জার মো: শহিদুল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া বনছাগলটি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়েছে। আমাদের তত্বাবধানে বনছাগলটি আছে । মৌলভীবাজারের রাজকান্দি রিজার্ভ ফরেস্টে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
উইকিপিডিয়ার মতে, বনছাগল বনের ধারে বা পাহাড়ের ঢালে একাকী ঘুরে বেড়ায় ও খাবার সংগ্রহ করে। পাহাড়ের খাড়া ঢালে বা সমতলভূমিতে একইভাবে দ্রুতগতিতে চলতে পারে। বছরে একবার সাধারনত মে-জুন মাসে আট মাস গর্ভধারণের পর একটি বাচ্চা প্রসব করে। পাহাড়ের গুহায় ঘন ঘাসবনে বা পাথরের ফাঁকে ফাঁকে নিজে লুকায় ও বাচ্চাকে লুকিয়ে রাখে। গায়ের রং লালচে বাদামী। শিং ৯ থেকে ১০ ইঞ্চি লম্বা এবং পেছন দিকে বাঁকানো থাকে। কানগুলি রামছাগলের মত বড় হলেও শক্ত এবং খাড়া বা সামান্য কাত হয়ে থাকে। লেজটি ছাগলের লেজের মত ছোট। হাটু থেকে পায়ের খুর পর্যন্ত কিছুটা সাদার ছোপ রয়েছে। খুরের রং কাল। পুরুষ ও স্ত্রী উভয়ের কাল শিং থাকে।